নিজস্ব প্রতিবেদক: ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সঙ্গে বাতাসের গতি বাড়ছে। পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরেও ঢেউ বাড়ছে। আকাশ মেঘলা রয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে সূর্যের দেখা নেই। পটুয়াখালীর পায়রা বন্দরে ৪ নম্বর বিপদসংকেত উঠিয়ে ৭ নম্বর বিপদসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এদিকে, প্রস্তুত করা হয়েছে ১৫০টি আশ্রয়কেন্দ্র এবং ২০টি মুজিবকেল্লা। সবাইকে নিরাপদ স্থানে অবস্থান নেওয়া এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসন এবং ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ আশ্রয়কেন্দ্র যাননি।
আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তির ক্রমিক নম্বর-১০ থেকে জানা যায়, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় হামুন উত্তরপূর্ব দিক অগ্রসর হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। বুধবার দুপুরের মধ্যে এ অঞ্চল অতিক্রম করতে পারে।
কলাপাড়া উপজেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির সহকারী পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ইতোমধ্যে প্রতিটি ইউনিটের টিম লিডারকে সতর্কতা সংকেত দেওয়ার জন্য বলে দিয়েছি। আমরাও প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।’
কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘১৫০টি আশ্রয়কেন্দ্র এবং ২০টি মুজিবকেল্লা প্রস্তুত করা হয়েছে।’